BREAKING NEWS

Category 5

Category 6

Category 7

From our Blog

Showing posts with label রাজবাড়ী জেলার পুরাকীর্তি. Show all posts
Showing posts with label রাজবাড়ী জেলার পুরাকীর্তি. Show all posts

Friday, February 4, 2022

রাজবাড়ী জেলার পুরাকীর্তি

 পুরাকীর্তি  ☑

 ১। রাজবাড়ী সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়ের লাল ভবনঃ রাজবাড়ী সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের দেড় শতাধিক বছরের প্রাচীন লাল ভবনটি রাজবাড়ী জেলার একটি অন্যতম পূরাকীর্তি। ১৮৭৮ সালে গোয়ালন্দ হাই ইংলিশ নামে এ স্কুলটি লাল ভবনে তত্কালীন জমিদার গিরিজা শংকর মজুমদার ও তার ভাই অভয় শংকর মজুমদার প্রতিষ্ঠা করেন। ইতোমধ্যে প্রত্নতত্ত অধিদপ্তর এই স্থাপনাকে সংরক্ষণের প্রক্রিয়া শুরু করেছে। 

২। শাহ পাহলোয়ানের মাজারঃ রাজবাড়ী অঞ্চলে ষোড়শ শতকে ধর্ম প্রচারের জন্য আগমন করেন শাহ পাহলোয়ান এর মত আউলিয়ারা। ১৪৮০ হতে ১৫১০ খ্রিস্টাব্দের মধ্যে শাহ পাহলোয়ান বোগদাদ শরীফ পরিত্যাগ করে ফরিদপুর অঞ্চলে এসে চন্দনা নদীর তীরে বাসস্থান নির্মাণ করে উপাসনা করছিলেন। কথিত আছে শাহ পাহলোয়ান মৃত্যুর সময় শিষ্যদের তার কবর পূর্ব-পশ্চিম লম্বা-লম্বি দিতে বলেছিলেন। কিন্তু তার শিষ্যবর্গ প্রচলিত বিধানমতে যথানিয়মে তাকে কবরস্থ করেন। কিন্তু সকালে দেখা গেল তার কবর ঘুরে পূর্ব-পশ্চিম লম্বা-লম্বি হয়ে গিয়েছে। শাহ পাহলোয়ানই রাজবাড়ী অঞ্চলে ইসলাম প্রচারের ভিত রচনা করে গেছেন। 

৩। নলিয়া জোড় বাংলা মন্দিরঃ বালিয়াকান্দি থানার নলিয়া গ্রামে একটি জোড় বাংলা মন্দিরের ধ্বংসাবশেষ রয়েছে। এর গঠন বিচিত্র। এ মন্দিরটি ১৭০০ সালে তৈরী বলে পন্ডিতগণ মনে করেন। 

৪। সমাধিনগর মঠ ( অনাদি আশ্রম) ঃ বালিয়াকান্দি উপজেলার জঙ্গল ইউনিয়নে ১৯৪০ সালে স্বামী সমাধী প্রকাশরণ্য এ মঠটি নির্মাণ করেন যার উচ্চতা ৭০ ফুট (গম্বুজসহ), দৈর্ঘ্য প্রায় ৮০ ফুট এবং প্রস্থ ৫০ ফুট। এটি অনাদি আশ্রম বলে পরিচিত। স্বামীজী এ আশ্রমের মাধ্যমে ঐ এলাকার মানুষকে আলোর পথে অগ্রায়ণ করে গেছেন। 

৫। নীলকুঠিঃ ১৮৫৭ সালে সিপাহী বিদ্রোহের পর নীলকরদের অত্যাচার আরো বৃদ্ধি পায় এবং প্রজা সাধারণ অতিষ্ট হয়ে সংঘবদ্ধভাবে নীলকরদের বিরূদ্ধে রুখে দাড়ায়। শুরু হয় নীলবিদ্রোহ। রাজবাড়ীতে নীলবিদ্রোহ সংঘটিত হয়। এ সময় বালিয়াকান্দি থানার সোনাপুরের হাশেম আলীর নেতৃত্বে শত শত চাষী নীলকর ও জমিদারদের বিরূদ্ধে নীল বিদ্রোহে অংশ নেয়। বহু স্থানে নীলকুঠি আক্রমণ করে ও কাচারী জ্বালিয়ে দেয়। এ অঞ্চলের বসন্তপুর, বহরপুর, সোনাপুর, বালিয়াকান্দি, নাড়ুয়া, মৃগী, মদাপুর, সংগ্রামপুর, পাংশার নীলচাষীরা বিদ্রোহী হয়ে ওঠে। ফলে ১৮৬০ সালে বৃটিশ সরকার নীল কমিশন বসান এবং নীল চাষ স্বেচ্ছাধীন ঘোষণা করেন। ধীরে ধীরে কৃত্রিম নীল উদ্ভাবিত হয় এবং প্রাকৃতিক নীল চাষ বন্ধ হয়ে যায়।


ভালো লাগলে লাইক,  কমেন্টস ও শেয়ার করে সবাইকে দেখার সুযোগ করে  দিন। ধন্যবাদ













 
Copyright © 2013 রাজবাড়ী জেলার ইতিহাস ঐতিহ্য
Distributed By Free Premium Themes. Powered byBlogger